নীলমণি দাশ (৩ মার্চ ১৯১১ - ১৭ মার্চ ১৯৯১) একজন বিখ্যাত বাঙালি ব্যায়ামবিদ ছিলেন। হিন্দু মহাসভার একটি অনুষ্ঠানে দেহসৌষ্ঠব প্রদর্শন, লোহা বেঁকানো, বিম ব্যালেন্সিং খেলা দেখানোর মাধ্যমে আয়রনম্যান উপাধি লাভ করেন এবং শারীরশিক্ষক হিসেবে ক্যালকাটা অ্যাকাডেমি এবং ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
নীলমণির পিতামহ ১৮৭৩ সালে হুগলী জেলা থেকে কলকাতায় চলে আসেন এবং মানিকতলা অঞ্চলের টিকিয়াপাড়ায় জমি কিনে স্থায়ী হন। পিতা নিবারণচন্দ্র দাশের মৃত্যুর পর, নীলমণির পিতা কঠোর সংগ্রাম শুরু করেন। শৈশবে অত্যন্ত দুরন্ত প্রকৃতির ছিলেন এবং নানা স্কুলে শিক্ষা গ্রহণের পর অবশেষে ক্যালকাটা অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন। ছোটবেলায় দুর্বল থাকার কারণে ফুটবল খেলার সময় হাঁপিয়ে পড়তেন, তাই ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দৌড় অভ্যাস করেন।
নীলমণি বঙ্গবাসী কলেজ থেকে বি.এ. সমাপ্ত করেন এবং কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তিনি কলকাতা এবং বাংলার বিভিন্ন জেলায় ব্যায়াম প্রদর্শনী করেন এবং তরুণ সমাজকে ব্যায়ামের প্রতি আগ্রহী করার চেষ্টা করেন। বঙ্গবাসী কলেজের শারীর শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন এবং তার এই প্রচেষ্টায় বহু ছাত্র শরীরচর্চার জগতে সুনাম অর্জন করেন।
নীলমণি দাশ বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: