ব্লকচেইন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো হলো:
1. ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার (Distributed Ledger): ব্লকচেইন একটি ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার সিস্টেম যেখানে সমস্ত লেনদেনের তথ্য নথিভুক্ত থাকে। এটি নেটওয়ার্কের সকল অংশগ্রহণকারীকে দেখার জন্য উন্মুক্ত থাকে।
2. ডেসেন্ট্রালাইজেশন (Decentralization): ব্লকচেইন কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত, যা এটিকে আরও সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ করে তোলে।
3. ইম্যুটেবিলিটি (Immutability): ব্লকচেইনে সংরক্ষিত তথ্য পরিবর্তন বা মুছে ফেলা যায় না, যা এটি অবিচ্ছিন্ন ও অবিশ্বাস্য তথ্য নিশ্চিত করে।
4. ক্রিপ্টোগ্রাফি (Cryptography): তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্লকচেইনে ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়।
5. স্মার্ট কন্ট্রাক্টস (Smart Contracts): স্বয়ংক্রিয় চুক্তিগুলোর মাধ্যমে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলেই বিনিময় সম্পন্ন হওয়া সম্ভব হয়।
ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে:
1. ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency): যেমন বিটকয়েন ইত্যাদি।
2. সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা (Supply Chain Management): উৎপাদন থেকে পণ্য প্রসারণ পর্যন্ত সমস্ত প্রক্রিয়ার ট্র্যাকিং।
3. স্বাস্থ্যসেবা (Healthcare): রোগীদের তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ ও অনলাইন পরামর্শ প্রদান।
4. ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা (Banking and Finance): লেনদেন ত্বরান্বিত করা এবং ধ্রুপদী ব্যাংকিং প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ করা।
5. ভোটিং সিস্টেম (Voting System): নিরাপদ ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।
আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন।
মন্তব্য প্রদান করতে দয়া করে প্রবেশ কিংবা নিবন্ধন করুন।
প্রশ্ন উত্তরে স্বাগতম, যেখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এবং অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে উত্তর পেতে পারেন।