ভারতে মোঘল শাসনের ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যা প্রাচীন ভারতে অনেক পরিবর্তন এনেছে। সংক্ষেপে মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস নিম্নরূপ:
মোঘল সাম্রাজ্যের সূচনা:
১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধের মাধ্যমে বাবর দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।
মোঘল সাম্রাজ্যের প্রসারণ ও শাসনকাল:
হুমায়ুন: বাবরের পুত্র, তার শাসনকাল চ্যালেঞ্জিং ছিল, শের শাহ সুরির হাতে পরাজিত হয়েছিলেন, তবে পুনরায় ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করেন।
আকবর: মোঘল সাম্রাজ্যকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করেন এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্কার প্রবর্তন করেন। তিনি ধর্মীয় সহনশীলতার নীতি গ্রহণ করেন এবং "দীন-ই-ইলাহি" নামে একটি ধর্মীয় সমন্বয় প্রবর্তন করেন।
জাহাঙ্গীর: আকবরের পুত্র, যিনি বিভিন্ন শিল্পকলায় পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
শাহজাহান: সম্রাট হিসেবে তার শাসনকালের অন্যতম বড় অবদান ছিল তাজমহল নির্মাণ করা।
আউরঙ্গজেব: মোঘল সাম্রাজ্যের সর্বশেষ শক্তিশালী সম্রাট হিসেবে পরিচিত। তার সময় সাম্রাজ্য সর্বাধিক বিস্তৃত ছিল কিন্তু তিনি ধর্মীয় সংযমের নীতি অনুসরণ করেন যা বিদ্ৰোহ এবং সাম্রাজ্যের পতনের দিকে নিয়ে যায়।
মোঘল সাম্রাজ্যের পতন:
আউরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরে, মোঘল সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। পরবর্তী সম্রাটগণ ক্ষমতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আগমনে মোঘল সাম্রাজ্য ক্রমশ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ হারায়।
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ব্রিটিশরা বাহাদুর শাহ জাফরকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে, যা মোঘল সাম্রাজ্যের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটায়।